সেই ১৯৯৫ সনের কথা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। হিন্দি সিনেমার গানগুলো একটু অন্য লেভেলের ছিল। কথাগুলো কানে ভেসে আসলে বুকের ভিতর একটু হালকা চাপ অনুভব করতাম। আবার ভেবে ফেলেন না যে, আমি ঐ বয়সের চান্স নিতে শিখে গিয়েছি। এগুলো পরিবেশের প্রভাব, ভাইয়া। এ পরিবেশের প্রভাব কিছু বড় ভাইদের উপর ভালোই পড়েছিল। এই যেমন, মনু ভাইয়ের ২ স্ট্রোক হোন্ডার সাইলেন্সারের বটবটিটাইপের সাউন্ড বাজিয়ে নজরুল এভিনিউ এমোড় ওমোড় দাপড়ানো। কেউ কেউ আবার এক্সেলের উপর ভর করে স্টান্ট দেখানো। আমার কাছে এগুলো কিছুটা ফ্যান্টাসী কিছুটা পাগলামী মনে হতো। এ পাগলামীর ফলস্বরূপ স্বর্ণাআপুর হাত ভেঙ্গে ফেলে এক ফটোস্টুডিওর বড় ভাই। মাঝে মাঝে ওনার হাতে গোলাপ দেখতাম। নামটা মনে পড়ছে না।
কিন্তু ব্যাপারটি ঘটেছিল একটু অন্য জায়গায়। এক বড় ভাই মেয়েদের সেলোয়ার কামিজ পড়ে ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে হোন্ডার সামনে মিউজিক সিস্টেম লাগিয়ে তালপুকুরপার, নজরুল এভিনিউ, রেসকোর্সের রাস্তাগুলোতে শো-ডাউন করতেন। আমার কাছে এই ব্যাপারটা অনেকটা কার্টুনের ধারাবাহিক সিরিয়ালের মত লাগতো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো নিয়ে কোয়ারান্টিনে আমি কেন জাবর কাটছি? এই কিছু প্রুষকে দেখলাম মাস্ক নাকের নিচে লাগিয়ে এদিক ওদিক ঘুরছে। তাদের এই স্টাইল দেখে মুখে ওড়না দেয়া ঐ বড় ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেলো। অনেকে দেখলাম গলায়ও পড়ে ! এ নিয়ে আরেকটি স্মৃতি মনে যাবে শীঘ্রই।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.