আজ দোজখে বেহেস্ত থেকে কতিপয় মুমিন তাদের আত্নীয়দের জন্য শিন্নী পাঠিয়েছে। দ্বাররক্ষীরা শিন্নীর পাত্র নিয়ে ইবলিসের সাথে বৈঠক করছে। ইবলিস দ্বাররক্ষীদের বলল, এত দোজখবাসীদের মাঝে হাতে হাতে শিন্নী দিতে গেলে তা নিয়ে হিমশিম খেতে হবে; যেহেতু বেহেশতে প্রচুর ঝাক্কুম গাছ আছে, তাদের পাতাগুলো শিন্নি দেয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে। দ্বাররক্ষীরা ইবলিসের এই সহজ সমাধানে অনেক খুশি হল । তাকেই প্রচারণার দায়িত্ব ও বিতরনের দায়িত্ব দিল।
ইবলিস দায়িত্ব পেয়েই সমস্ত সন্তান-সন্ততিকে ডাকল। রুদ্ধদার বৈঠক শেষে সবাই ঝাক্কুম গাছের পাতা সংগ্রহে নেমে গেলো।
সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সব দোজখবাসীর মাঝে এ নিয়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। একে একে সবাই সুনির্দিষ্ট স্থানের দরজা দিয়ে ডুকছে অন্য দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। সবাই শিন্নীর পাতা হাতে হৈ হৈ রৈ রৈ করছে।
ক্ষনিক বাদে............
সবার হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে। কারও গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। কেউ ঝাক্কুম গাছের পাতার কাঁটা হাতে গলায় বিধে যাওয়া ঝাক্কুম ফলের অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।
ইবলিস সন্তান-সন্তদিদের নিয়ে উল্লাসে শিন্নীর স্বাদ গ্রহণ করছে। আল-আওয়ার ইবলিসকে বলল, ''বাবা, যে পরিমাণ শিন্নী ছিল; আমরা দোজখবাসী সবাই মিলে খেলে শেষ হতো না। আপনি এভাবে মানুষগুলোর হক কেড়ে নিলেন কেন?" ইবলিস উত্তরে বলল,"এজন্যই আমাকে সবাই আমাকে শয়তান বলে। আমি মানুষের হক কেড়ে খাই। তাদেরকে কষ্ট দেই। তারপরও বোকাগুলোর কোনদিনও হুস হয় না। হা হা হা হা হা। খা-বাবারা বেশী করে খা। অন্যের হক খাওয়ার মাঝে আদিম আনন্দ কোথাও খুঁজে পাবি না।"